মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
যে কোনো ফাইল হিডেন করা এবং হিডেন ফাইল শো করা শিখুন
আসসালামু আলাইকুম, আশা করি ভালই আছেন, আমি ও আমরা আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। তবে আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি? বেশি কথা না বাড়িয়ে কাজের কথায় আসি।
আমি ভেবেছি অনেক নতুন ভাইয়েরা আছে যারা নতুন পিসি কিনেছে এবং নতুন ইন্টারনেট ব্যবহার করা শুরু করেছে তাই তারা অনেক কিছুই যানে না, আমরা যা যনি তারা এথেকে অনেক পিছিয়ে আছে তাই তাদেরও আমাদের সাথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার এই উদ্দেশ্য, তাই আমি এই টিউটোরিয়াল ভাবে সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। তো শুরু করা যাক!
কম্পিউটারে ফাইল হিডেন করা এবং হিডেন ফাইল শো করা নিয়ে বিস্তারিত দেখুন
তাহলে আজ কি নিয়ে আলোচনা করব বুঝতেই পারছেন।
হ্যাঁ আজ আলোচনা করব কিভাবে আপনি একটি ফাইল হাইড করে রাখবেন এবং সেই হাইড ফাইলটি আপনি আবার কি ভাবে আন-হাইড করবেন?
(হাইড বলে আপনি যদি চান কোন একটি ফাইল আপনি অদৃশ্য করে রাখবেন কেহ দেখতে পাবে না, তাহলে এই হাইড অপশনটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।)
তাহলে আপনি,
যে ফাইল/ফোল্ডারটি হাইড করতে চান সেই ফাইল/ফোল্ডারটির উপরে রাইট ক্লিক করুন।
তারপর সেখান থেকে একদম নিচের অপশনটি Properties এ ক্লিক করুন, বুঝতে অসুবিধা হলে নিচের ছবিটি দেখুন।
Properties এ ক্লিক করার পরে নিচের মত একটি মেসেজ আসবে আপনার সামনে সেখানে আপনি Hidden নামের অপশনটিতে টিক দিন এবং Apply এরপরে ok ক্লিক করুন।
ব্যাস দেখুন আপনার ফোল্ডারটি ওখান থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছে।
যেভাবে হিডেন ফাইল শো করব!
এবার আসুন কিভাবে আবার ঐ ফোল্ডারটি Unhidden করবেন?
এ জন্য আপনি যে কোন একটি ফোল্ডার ওপেন করুন, এবং উপরে Tools থেকে Folder Options এ ক্লিক করুন,
অথবা আপনি Start>Control panel>Folder Option ওপেন করুন।
তাহলে নিচের মত আসবে সেখানে আপনি View ট্যাবটি ক্লিক করুন সেখানে দেখুন Show Hidden files and folders নামে একটি অপশন আছে
সেটি সিলেক্ট করে ওপেন করুন তাহলেই দেখবেন আপনার সেই হিডেন করা ফাইলটি সেখানে হালকা ভাবে শো করতেছে, (যেখানে আপনি ফাইলটি হিডেন করে ছিলেন)
নিচে দেখুন
এই ফাইলটিকে আবার আগের মত করতে, ফাইলটির উপরে রাইট ক্লিক করুন
এবং সেই Properties থেকে Hidden এর টিকটি উঠিয়ে দিন,
অবশেষে Apply, ok করুন, ব্যাস শেষ। আপনি আবার যদি চান Hidden ফাইল গুলো অদৃশ্য হয়ে থাকবে তাহলে আপনি আবার যে কোন একটি ফোল্ডার ওপেন করুন, এবং উপরে Tools থেকে Folder Options এ ক্লিক করুন,
>> অথবা আপনি Start>Control panel>Folder Option ওপেন করুন।
তাহলে নিচের মত আসবে সেখানে আপনি View ট্যাবটি ক্লিক করুন সেখানে দেখুন Do not show hidden files and folders নামে একটি অপশন আছে এটি সিলেক্ট করে Apply,
ok করে বেরিয়ে আসুন।
তাহলে আজ এ পর্যন্তই।
ভালো থাকবেন।
ভালো লাগলেকমেন্ট করে জানাবেন কিন্তু!
√কম্পিউটারের ডেক্সটপ(Desktop)কাকে বলে?
মনিটরের চারপাশে দেখতে পাওয়া সম্পূর্ণ স্ক্রীনটিকে ডেক্সটপ বলা হয়।
♪ বর্ননা:
এখানে লক্ষ করুণ হাতের বাম পাশে উপরে রয়েছে কিছু আইকন, নিচে রয়েছে স্টার্ট মেনু ও ডান পাশের নিচে ঘড়ির সময় সহ কিছু মিনি আইকন এবং এর মাঝখানে রয়েছে সম্পূর্ণ কালো একটি ব্যাকগ্রাউন্ড আর এই কালো জায়গা টিকেই ডেক্সটপ বলে।
♪কার্সর কি?
আমরা যখন কম্পিউটারে মাউস নারা চারা করি
তখন তীরের মতো একটা জিনিস নাচা-নাচি করে তাকে মাউস কারসর(Cursor) বলে।
♪বর্ননা:
কম্পিউটারে মাউস এর ব্যাবহার কম্পিউটারে মাউস দারাই বেশিরভাগ কাজ সম্পাদন করা হয়।
বর্তমান মাউস এ তিনটি বোতাম থাকে :
১- বামপাশের বোতাম(primary/left Button),
২- মাঝের বোতাম বা চাকা(wheel button)
৩- ডানপাশের বোতাম(Secondary/right Button)
এই কারসর কাজের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে থাকে।
স্ক্রীনের কোন স্থানে মাউস পয়েন্টার স্থাপন করে মাউসের বোতামে চাপ দেওয়াকে বলে মাউস ক্লিক করন।
একবার মাউস বোতাম চাঁপাকে বলে ক্লিক।
তেমনি দুবার মাউসের বোতাম চাঁপাকে বলে ডাবল ক্লিক।
মাউস দারা কোন ফাইল বা প্রোগ্রাম ওপেন করতে হলে ওই ফাইল বা প্রোগ্রামের উপর মাউসকারসর নিয়ে বাম পাশের বোতাম দিয়ে ডাবল ক্লিক করতে হয়।
চালু করা কোন প্রোগ্রাম বন্ধ করতে বা মিনিমাইজ করতে বামপাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করলে বন্ধ বা মিনিমাইজ হয়ে যাবে।
ডানপাশের বোতাম দিয়ে কোন ফাইল “সেভ করা, পেস্ট করা, কেটে ফেলাসহ কোন ফাইল, আইকন বা প্রোগ্রামের বিস্তারিত জানা যায়।
ডান পাশের বোতামে সব সময় এক বারি ক্লিক করতে হয়।
মাঝখানের বোতাম বা চাকা বাটন শুধু কোন বড় পেজ এর উপরে ও নিচে যেতে কাজে লাগে।
উদাহরন:যেমন ধরুন আপনি কোন পত্রিকা পরছেন সেক্ষেত্রে পেজটি বড় হলে এই বোতাম দিয়ে খুব সহজে উপরে ও নিচে যাওয়া যায়।
♪উইন্ডো কি?
কম্পিউটারে কোথাও ক্লিক করলে যে চর্তুভূজ আকারে কোনো এক ববা একাধিক পেজ ওপেন হয় তাকেই উইন্ডো বলে।
♪বর্ননা:
একটি উইন্ডো কে ছোট ও বড় করন এবং উইন্ডো বন্ধ করা উইন্ডো এর বাংলা শব্দ জানালা।
আমরা কম্পিউটারে যখন কোন প্রোগ্রাম চালু করি তখন ওটা একটা উইন্ডো আকারে ওপেন হয়।
এভাবে আমরা কম্পিউটারে এক সাথে অনেক গুলো প্রোগ্রাম উইন্ডো আকারে চালু করাতে পারি।
চালু করা উইন্ডো বড়, ছোট ও বন্ধ করা যায়।
আইকন কি ?
কম্পিউটারে যে সকল ছোট ছোট এক বা একাধিক ছবি বা চিত্র দেখা যায় তাকে icon বলে।
♪বর্ননা:
আইকন হল উইন্ডোজ স্ক্রীন এর অন্যতম মৌলিক অংশ। উপরের চিত্রে দেখানো হয়েছে।
My Document,My computer,Recycle Bin এগুলোকে আইকন বলা হয়।
যেমন এখানে তিনটি আইকন আছে আপনার কম্পিউটারে আরও বেশী আইকন থাকতে পারে।
উল্লেক্ষ্য যে আমরা কম্পিউটারে নতুন কোন প্রোগ্রাম ইনস্টল করলে সেটি একটা আইকন ধারন করে এবং ওই আইকনে ডাবল ক্লিক করে প্রোগ্রামটি রান করাতে হয়।
♪টাইটেল বার ও মেনু বার এবং স্ক্রোলবার কি ?
♪বর্ননা:
মেনু বারঃ
File,Edit,View,Favorites,Help ইহারা এক একটি মেনু এবং ইহাদিগকে যে লাইনে দেখা যাই উহার নাম মেনু বার।
মেনু বার দিয়ে প্রোগ্রামের নান ধরনের কাজের। কমান্ড দেওয়া যায়।
আর স্ক্রোলবার দিয়ে কোন প্রোগ্রামের নিচে বা উপরে যাওয়া যায়।
নিচের ছবিতে দেখানো হোল। 
ফোল্ডার:
♪বর্ননা
কি ফোল্ডার তৈরি করা ও নাম পরিবর্তন করা। ফোল্ডার মানে যার ভিতর এক বা একাধিক ফাইল রেখে দেওয়া যায়।
মনে করুণ আপনার কিছু ছবি ও কিছু ভিডিও আছে তো আপনি চান এগুলো আলাদা আলাদা করে রাখবেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ফোল্ডার বানাতে হবে।
যেমন ছবির জন্য একটা আর ভিডিওর জন্য আরেকটা।
উল্লেখ্য একটি ফোল্ডারের ভিতর আরও অনেক সাবফোল্ডার বানানো যায়। নতুন ফোল্ডার তৈরী করার জন্য কম্পিউটারের ডেস্কটপের যেকোন খালি জায়গায় গিয়ে মাউস এর ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুণ,
এখানে New লেখার উপর মাউস কারসর নিয়ে যান ডান পাশে দেখেন Folder নামে একটা আইকন দেখবেন সেখানে মাউস এর বামপাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করুন,তাহলে ডেস্কটপে একটা ফোল্ডার তৈরী হবে।
এবার এর নাম করন করার জন্য তৈরী করা ফোল্ডারের উপর মাউস কারসর নিয়ে ডানপাশের বোতামে ক্লিক করুণ, নিচের ছবির মতো আসবে  এখানে Rename এ ক্লিক করুণ, বাম পাশের বোতাম দিয়ে ক্লিক করার সাথে সাথে মাউস থেকে হাত উঠিয়ে ফেলুন।
তারপর কীবোর্ড এ গিয়ে যে নাম দিতে চান সে নাম দিয়ে এন্টার(Enter) চাপুন বা মাউস এর বামপাশের বোতাম দিয়ে যে কোন খালি জায়গাই ক্লিক করুণ, দেখবেন আপনার ফোল্ডারের নাম করা হয়ে গেছে।
পুরান ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করার পদ্ধতি একি রকম।
ফাইল কপি(copy)ও পেস্ট(Paste)করা:
♪বর্ননা:
কম্পিউটারে কোন ফাইল কপি ও পেস্ট করা অনেকটা ফোল্ডার তৈরী করার মতো ।
এর জন্য আপনাকে যে ফাইল টি কপি করতে চান তার উপর মাউস এর করসার নিয়ে ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুণ দেখবেন Copy নামে একটা লেখা আসবে সেখানে ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে,
এবার যেখানে এই কপি করা ফাইল টির পুনর্স্থাপন বা পেস্ট করতে চান সেখানে মাউস কারসর নিয়ে আবার ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুন,করে সেখানে Past লেখার উপর ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে।
ব্যাস কাজ শেষ আপনার ফাইল কপি হয়ে যাবে।
ফাইল ডিলিট(Delete) করা
♪বর্ননা
কম্পিউটারে কোন ফাইল ডিলিট বা মুছিয়া ফেলা অনেকটা কপি-পেস্ট করার পদ্ধতির মতো।
ফাইল ডিলিট করার জন্য যে ফাইল ডিলিট করবেন তার উপর মাউসের কারসর নিয়ে ডান পাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করুণ,সেখানে Delete নামে লেখাতে ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে একবার,
ক্লিক করার সাথে সাথে আর একটা উইন্ডো আসবে।
 এটা একটি সতর্ক বার্তা প্রদর্শনকারী উইন্ডো যা আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছে যে আমি কি অবশ্যই সিলেক্ট করা ফাইল টিকে আপনার কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলতে চান,
চাইলে Yes এ ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে একবার, আর নি চাইলে No তে ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে একবার,
তাহলে আপনার ফাইল টি ডিলিট হয়ে যাবে।
তাহলে আজ এই পর্যন্তই রাখলাম।
ভাল লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না…কিন্তু! যদি আমাদের লেখার মাঝে কোন ভুলত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ভাল থাকবেন। আবার আসব নতুন পোষ্ট নিয়ে।
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড দেওয়ার নিয়ম
নানা প্রয়োজনে কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
বিশেষ করে গোপনীয়তা রক্ষায় পাসওয়ার্ড দেওয়া অনেক ক্ষেত্রে জরুরি হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া বাসায় ছোট বাচ্চা থাকলে তারা এলোমেলোভাবে ব্যবহার করে কম্পিউটারের ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখলে অন্য কারও পক্ষে কম্পিউটার ওপেন করা সম্ভব হয় না।
কেমন করে কম্পিউটারে পাসওয়ার্ড দিতে হয় তা দেখুন এই টিউটোরিয়ালে।
১. প্রথমে কম্পিউটারের Start Menu তে ক্লিক করতে হবে।
>>সেখান থেকে Control panel এ ক্লিক করতে হবে।
২. এরপর নতুন একটি উইন্ডো আসবে যেখান থেকে User Account অপশনটি ক্লিক করে ওপেন করতে হবে।
৩. এ অপশন থেকে create a password for you account এ ক্লিক করতে হবে।
৪. এবার আপনার পছন্দ মত পাসওয়ার্ডটি টাইপ করতে হবে।
এরপর create password এ ক্লিক করতে হবে। তাহলে পাওয়ার্ড তৈরি হয়ে যাবে।
এখন কম্পিউটার অন করার সময় পাসওয়ার্ড প্রয়োজন হবে। পাসওয়ার্ড ছাড়া কেউ কম্পিউটার স্টার্ট করতে পারবে না।
ভালো থাকবেন।
আপনার জীবন হোক সুন্দর।
প্রথমে computer স্টার্ট করার পদ্ধতি দেখুন:
১) ধরে নেওয়া হয়েছে যে আপনি সব কানেকশান ঠিকমতো লাগিয়েছেন। না পারলে পরের পোস্টের অপেক্ষা করুন।
২) এবার বোর্ড এর সুইচ অন করুন।
৩) UPS এর সুইচ অন করুন। এই অন করার দুই রকম পদ্ধতি আছে। কিছু সুইচ টিপে দিলেই চলে। কিছু আবার টিপে কয়েক সেকেন্ড ধরে রাখা লাগে।
৪) এর পরে CPU এর স্টার্ট বাটন টিপুন। আপনার মেশিনের মডেল অনুসারে এটি বিভিন্ন জায়গায় থাকতে পারে। খুঁজে না পেলে সব বোতাম টিপে টিপে দেখুন।
৫) এবার কম্পিউটার অন হয়ে যাবে (এটি কেবল উইন্ডোজ এর জন্য।)
এবারে আসি অফ করার পদ্ধতিতে।
১) যাদের কিবোর্ডে অফ কি আছে তারা প্রেস করতে পারেন। তবে সবার এইটি থাকে না।
২) কিবোর্ড থেকে Alt ধরে F4 টিপতে পারেন।
৩) এক্সপি হলে Win কী টিপে তার পর দুবার U টিপুন।
৪) CPU থেকে যেটি টিপে অন করেছিলেন সেইটি টিপেও অফ করা যায়।
বিশেষ সতর্কতাঃ- উইন্ডোজ় হলে মেশিন অফ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কারণ বন্ধ করলেই বন্ধ হবে এমন গ্যারান্টী দেওয়া যায় না। আপনাকে মাউস দিয়ে End Program করতে হতে পারে।
৫) এছাড়া লিনাক্স হলে সোজাসুজি সুইচ অফ করে দিলেও চলতে পারে।
লিখে পুরোপুরিভাবে বোঝানো সম্ভব নয়।
তাই সামান্য ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
যদি কোনো ভুল হয় তবে ক্ষমা করবেন।
সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
কম্পিউটারের অংশগুলো কি কি?
নিম্নে দেখুন।
কম্পিউটারের গঠনপ্রণালীঃ
একটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার তৈরি করতে দু’টো প্রধান অংশের প্রয়োজন হয়। সেগুলো হলো-
(১) হার্ডওয়্যার (২) সফটওয়্যার।
১) হার্ডওয়্যারঃ
কম্পিউটার তৈরি করতে যেসব শক্ত জিনিষের ব্যবহার করা হয়েছে তার সবগুলোকেই হার্ডওয়্যার বলে।এক কথায় আমরা চোখের সামনে কম্পিউটারের যে সব ডিভাইস বা যন্ত্রগুলো দেখি তা সবই হার্ডওয়্যার।
যেমন- মনিটর, সিপিইউ,কীবোর্ড, মাউস ইত্যাদি হার্ডওয়্যারের অন্তর্গত। এই হার্ডওয়্যারের ভিত্তিতে কম্পিউটারকে আবার চারটি অংশে বিভক্ত করা যায়। সেগুলো হলো-
(ক)ইনপুট অংশ।
(খ)কেন্দ্রিয় প্রক্রিয়াজাত করণ অংশ।
(গ)মজুদ কেন্দ্র বা স্মৃতি অংশ।
(ঘ)আউটপুট অংশ।
(ক)ইনপুট অংশঃ যে অংশের সাহায্যে কম্পিউটারে কোন নির্দেশ বা তথ্য প্রবেশ করানো হয় সেই অংশকেই ইনপুট অংশ বলা হয়।
পরবর্তীতে সেই নির্দেশ বা তথ্যের ভিত্তিতেই কম্পিউটার যাবতীয় কাজ সম্পাদন করতে পারে।
বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে কম্পিউটারে তথ্য প্রবেশ করানো যায়। তবে এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, জয়স্টিক, মাইক্রোফোন ইত্যাদি এবং এগুলো সবই ইনপুট অংশের অন্তরভুক্ত।
(খ)কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ অংশঃ যে অংশে কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াজাত করা হয় সেই অংশকেই বলা হয় কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ অংশ।
এই অংশটি হলো কম্পিউটারের মূল বা প্রাণকেন্দ্র।আমাদের মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে মগজ যেমন আমাদের সবধরণের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে-ঠিক তেমনি এই অংশ কম্পিউটারের অভ্যন্তরে সকল কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সেগুলোকে প্রক্রিয়াজাত করে।
তারপর সেই প্রক্রিয়াজাত করা তথ্যকে পাঠ উপযোগি করে প্রেরণ করে আউটপুট অংশে।
(গ)মজুদ কেন্দ্র বা স্মৃতি অংশঃ যে অংশে কম্পিউটারে প্রবেশ করানো তথ্যকে সংরক্ষণ করে রাখা যায় সেই অংশকেই মজুদ কেন্দ্র বা স্মৃতি অংশ বলে।
কম্পিউটারে কোন তথ্য প্রবেশ করিয়ে তার ফলাফল দেখলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না।
সেগুলো জমা করে রাখারও প্রয়োজন হয়ে পড়ে।অনেক সময় কম্পিউটারে কাজ করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য বা নির্দেশ প্রদাণ করতে হয়।
এগুলো আগে থেকেই কম্পিউটারে প্রবেশ করিয়ে রাখা যায়।কম্পিউটারের এই স্মৃতিকে দু’টি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়।
(১)ভেতরের স্মৃতিঃ যে স্মৃতিধারক কম্পিউটার যন্ত্রের ভিতরে থাকে সেই স্মৃতিধারককে বলা হয় ভেতরের স্মৃতি।
এই স্মৃতি আবার দুই প্রকার।
যেমনঃ রিড অনলি মেমোরী বা রম ও র্যানডম একসেস মেমোরী বা র্যাম।
ক.রম
যে স্মৃতির মধ্যকার তথ্যকে কেবলমাত্র পড়া যায় কিন্তু কোন পরিবর্তন করা যায় না, সেই স্মৃতিকে বলা হয় রিড অনলি মেমোরী বা রম।
এই স্মৃতিকে আবার কম্পিউটার চালানোর প্রাথমিক স্মৃতিও বলা হয়ে থাকে।
সাধারণত: কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এই ধরণের স্মৃতির মধ্যে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য বা নির্দেশ স্থায়ীভাবে দিয়ে দেন।
খ. র্যামঃ
যে স্মৃতির মধ্যকার তথ্যকে দেখা যায়, পাঠ করা যায় এবং প্রয়োজনে পরিবর্তন করা যায় সেই স্মৃতিকেই র্যানডম একসেস মেমোরী বা র্যাম বলে।
এই ধরণের স্মৃতি হচ্ছে অস্থায়ী। কারণ এই স্মৃতির মধ্যকার তথ্যকে ব্যবহারকারী তার ইচ্ছামত পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করতে পারে।
(২)বাইরের স্মৃতিঃ কম্পিউটারের বাইরে যে মাধ্যমে কোন তথ্যকে সংরক্ষণ করা হয় সেই স্মৃতিকেই বলা হয় বাইরের স্মৃতি। এই স্মৃতি কম্পিউটারের যাবতীয় তথ্য সংরক্ষণ স্মৃতি।ব্যবহারকারী তার তথ্য কম্পিউটারে সরক্ষণ করতে চাইলে এই স্মৃতির সহযোগিতা বা সাহায্য নিতে হবে। এই স্মৃতির উদাহরণ হলো- হার্ডডিস্ক, ফ্লপিডিস্ক ইত্যাদি।
এই বাইরের স্মৃতিধারকগুলো সাধারণভাবে যে কোন কম্পিউটারেই ব্যবহার করা যায়। ইদানিং বাজারে বেশ কিছু নতুন ও উপযোগি বাইরের স্মৃতিধারক পাওয়া যাচ্ছে।
এরমধ্যে সিডি বা কম্প্যাক্ট ডিস্ক, এমও ডিস্ক, জিপ ডিস্ক, সুপার ডিস্ক ইত্যাদি।কিন্তু এধরণের স্মৃতিধারককে ব্যবহারের জন্য আলাদা ধরণের ডিভাইস বা ড্রাইভ দরকার হয়।
(ঘ) আউটপুট অংশঃ যে অংশে কম্পিউটারের যাবতীয় ফলাফল প্রদর্শিত হয় সেই অংশকেই বলা হয় কম্পিউটারের আউটপুট অংশ।
এই অংশটা কম্পিউটারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশে আমাদের যাবতীয় কাজের ফলাফল প্রদর্শিত হয়।
কম্পিউটারের ফলাফল প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন ধরণের ডিভাইস বা মাধ্যম রয়েছে।এরমধ্যে প্রাথমিক বা উল্লেখযোগ্য হলো মনিটর। কম্পিউটারের সামনে থাকা টেলিভিশনের মতো দেখতে এই যন্ত্রটির নাম মনিটর। মনিটরের পর্দায় আমাদের বা ব্যবহারকারীর যাবতীয় কাজের ফলাফল ফুটে উঠে।
এই মনিটরের অপর নাম ভিডিইউ বা ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে ইউনিট।
এছাড়া ফলাফল কাগজে প্রিন্ট করে নেওয়ার জন্য রয়েছে প্রিন্টার। শব্দের ফলাফল শোনার জন্য আছে স্পীকার ইত্যাদি।
২)সফটওয়্যারঃ সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের প্রাণশক্তি। কম্পিউটার চালাতে যে প্রাণশক্তি দরকার হয় তাকে সফটওয়্যার বলে।
মানুষের যেমন হাত, পা, কান, মাথা ইত্যাদি থাকলেই চলে না- তার সাথে থাকতে হয় প্রাণশক্তি। তেমনি শুধু হার্ডওয়্যার দিয়ে কম্পিউটার চলে না। একে চালাতে হলে চাই সফটওয়্যার।
হার্ডওয়্যার খালি চোখে দেখা যায় কিন্তু সফটওয়্যার দেখা যায় না।
কম্পিউটারে যে সমস্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।
আজ এই পর্যন্তই।
ভালো থাকবেন।
কম্পিউটারের মৌলিক বৈশিষ্ট্য গুলি:
কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র। এর অর্থ হলো বিদ্যুতের সাহায্যে চলে। ইলেক্ট্রনিক আরো অনেক যন্ত্র আছে। কিন্তু কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য যা কম্পিউটারকে অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে আলাদা করেছে।
উল্লেখযোগ্য দশটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য হলো -
১)দ্রুতগতি (High Speed)
২) নির্ভুলতা(Correctness)
৩) সূক্ষতা (Accuracy)
৪) বিশ্বাসযোগ্যতা (Reliability)
৫) ক্লান্তিহীনতা (Diligence)
৬) স্মৃতিশক্তি (Memory)
৭) স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)
৮) যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)
৯) বহুমুখিতা (Versatility)
১০) অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)
উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারনেই উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর উন্নয়নের পেছনে কম্পিউটারের ভুমিকাকে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হয়।
উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও বর্তমানে কম্পিউটারের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নিন্মে কম্পিউটারের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ঠ্যগুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১) দ্রুতগতি (High Speed)
বৈদ্যুতিক বাল্বের সুইচ অন করা মাত্রই বাল্ব জ্বলে ওঠে। কারন বিদ্যুতের গতি অন্যান্য যেকোন বস্তুর গতির চেয়ে অনেক অনেক বেশি।
বিদ্যুতের গতিতে আমাদের পৃথিবীকে পরিভ্রমন করলে এক সেকেন্ড সারে সাতবার পরিভ্রমন করা সম্ভব।
কম্পিউটারের গতিও হচ্ছে বিদ্যুতের গতি। কম্পিউটার কাজ করে বৈদ্যুতিক সিগন্যালের মাধ্যমে আর তাই আধুনিক কম্পিউটার ২ (দুই) কোটি যোগ করতে সময় ব্যবহার করে মাত্র ১ সেকেন্ড।
দ্রুতগতি কম্পিউটারের অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি।
কম্পিউটার একটি নির্দেশ সম্পন্ন করতে ১ ন্যানোসেকেন্ড সময় ব্যবহার করে।
১ সেকেন্ডর ১০০ কোটি ভাগের এক ভাগ হচ্ছে ১ ন্যানোসেকেন্ড।
তোমাদের বোঝার সুবিধার জন্য সেকেন্ডের ভগ্নাংশের একটি টেবিল
নিচে দেয়া হলো -
১ মিলি সেকেন্ডে = ১/১০০০ সেকেন্ড
১ মাইক্রো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০ সেকেন্ড
১ ন্যানো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০ সেকেন্ড
১ পিকো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড
১ফেম্টো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড
এ্যাটো সেকেন্ড = ১/১০০০০০০০০০০০০০০০০০০ সেকেন্ড
দ্রুতগতির কারনে কম্পিউটার ১ (এক) ঘন্টায় যে পরিমান হিসাব-নিকাশের কাজ করতে পারবে একজন মানুষ তার ১০০ বছরের কর্মময় জীবনেও তার সমপরিমান কাজ করতে পারবে না।
২) নির্ভুলতা (Correctness)
কম্পিউটার একটি মেশিন। মানুষের দেয়া সূত্র ও যুক্তির মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করে।
মানুষ তার নিজের আবিস্কার করা সূত্র ব্যবহার করতে যেয়ে ভুল করতে পারে। কিন্তু কম্পিউটার কখনও ভুল করে না।
কম্পিউটারের নির্ভুলতা শতকরা ১০০ ভাগ।
৩) সূক্ষ্মতা (Accuracy)
কম্পিউটারের স্মৃতিশক্তি আছে। তাই অনেক ঘর পর্যন্ত নির্ভুলভাবে গানিতিক ক্রিয়াকলাপ করতে পারে। এই কারনে কম্পিউটারের সূক্ষ্মতা অনেক বেশি ধরে নেয়া যায়।
দ্রুতগতি ও সূক্ষ্মতা এই দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্টের কারনে পর্যবেক্ষনমূলক গবেষনার কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়। যেমন পারমানবিক বোমার পরীক্ষামূলক বিস্ফোরনে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করে রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া পর্যবেক্ষন ও বিশ্লেষন করা হয়।
৪) বিশ্বাসযোগ্যতা (Reliability)
কম্পিউটার নির্ভুল ও সূক্ষ্মভাবে কাজ করে। কাজ করার জন্য কম্পিউটার মানুষের আবিস্কার করা সূত্র ও মানুষের দেয়া নির্দেশ ব্যবহার করে।
তবে মানুষ যদি ভুল সূত্র ব্যবহার করে ও ভুল নির্দেশ দেয় তবে কম্পিউটার ভুল উত্তর তৈরি করে থাকে। এই দোষ কিন্তু কম্পিউটারের নয়।
যে ব্যক্তি কম্পিউটারকে ভুলভাবে নির্দেশনা দেয় দোষটি মূলত তারই। ইংরেজিতে কম্পিউটারের ভুল ফলাফল দেয়াকে বলে গার্বেজ ইন গার্বেজ আউট বা জিগো।
৫) ক্লান্তিহীনতা (Diligence)
কম্পিউটার একটি যন্ত্র। আর যন্ত্রের একটি স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ক্লান্তিহীনতা। পুনরাবৃত্তিমূলক কাজে বা সাধারন কোন নিয়মিত কাজে কম্পিউটার রাত দিন ক্লান্তিহীন, বিরক্তিহীন এবং বিশ্রামহীনভাবে কাজ করতে পারে। কম্পিউটারের কোন আবেগ নেই।
তাই কাজ করতে তার মনোযোগ, সহিষ্ণুতায় ভাটা পরে না। শিল্পক্ষেত্রে কিংবা পর্যবেক্ষনমূলক কাজে এই কারনেই কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।
৬) স্মৃতিশক্তি (Memory)
কম্পিউটারের নিজস্ব স্মৃতিশক্তি আছে।একে ইংরেজিতে মেমোরি (গবসড়ৎু) বলে। প্রোগ্রামারগণ কম্পিউটার কি করে কাজ করবে তার নির্দেশ কম্পিউটারের স্মৃতিতে সংরক্ষন করে দেন।
কাজ করার সময় এখান থেকে ধারাবাহিকভাবে নির্দেশ তুলে নিয়ে কম্পিউটার কাজ করে।
কম্পিউটার দিয়ে কাজ করানোর জন্য প্রয়োজনীয় ডেটা কম্পিউটারের স্মৃতিতে সংরক্ষন করে রাখা হয়।
প্রক্রিয়াজাত ডেটা ও ফলাফলও স্মৃতিতে সংরক্ষিত থাকে। অপ্রয়োজনীয় তথ্য স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যায়।
৭) স্বয়ংক্রিয়তা (Automation)
কম্পিউটার স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। এই কারনে ঝুকিপূর্ন কাজে মানুষের পরিবর্তে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা হয়।
এছাড়া কল-কারখানায়, বিস্ফোরক গবেষনায় কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। পূর্ব থেকে যেহেতু কম্পিউটারে নির্দেশ সংরক্ষন করে দেয়া থাকে তাই কাজ করার সময় একটির পর একটি নির্দেশের আলোকে স্বয়ংক্রিযভাবে কম্পিউটার কাজ করতে পারে।
৮) যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত (Logical Decision)
কম্পিউটারকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবস্থা বিচার করে কি কাজ করতে হবে তার আগাম নির্দেশ দিয়ে রাখলে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিভিন্ন কাজ নিজে নিজে করতে পারে।
তবে নিজে থেকে কম্পিউটার কোন মৌলিক চিন্তাশক্তির অধিকারী নয়। মানুষের দেয়া উন্নত সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকে।
৯) ব্যবহারের বহুমুখিতা (Versatility)
বহুমুখী কাজে কম্পিউটারকে ব্যবহার করা যায়। এর কারন হচ্ছে কম্পিউটার একাট প্রোগ্রাম নির্ভর যন্ত্র। যখন যেই প্রোগ্রাম কম্পিউটারে লোড করা থাকে সেই প্রোগ্রাম অনুসরণ করে কম্পিউটার কাজ করতে পারে।
এই কারনে একটি কম্পিউটারে যেমন হিসাব-নিকাশের প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হিসাব-নিকাশ করা যায় আবার মাল্টিমিডিয়া সফ্টওয়্যার ব্যবহার করে ছবি দেখা যায় বা গান শোনা যায়।
এরকম বিবিধ কাজ কম্পিউটার করতে পারে।
১০) অসীম জীবনীশক্তি (Endless Life)
কম্পিউটার চালানো হয় প্রোগ্রাম ব্যবহার করে। প্রোগ্রাম তৈরি করেন প্রোগ্রামার ও বিজ্ঞানীগণ। মানুষের জীবনের যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় আছে কিন্তু প্রোগ্রামের কোন নির্দিষ্ট জীবনসীমা নেই।
মানুষের তৈরি প্রোগ্রাম বছরের পর বছর সামান যোগ্যতায় একই মান এ কাজ করে যেতে পারে। হার্ডওয়্যারের একটি নির্দিষ্ট জীবনসীমা আছে। কিন্তু সফ্টওয়্যারের জীবন অসীম।
আজ এই পর্যন্তই।
ভালো থাকবেন।