√কম্পিউটারের ডেক্সটপ(Desktop)কাকে বলে?
মনিটরের চারপাশে দেখতে পাওয়া সম্পূর্ণ স্ক্রীনটিকে ডেক্সটপ বলা হয়।
♪ বর্ননা:
এখানে লক্ষ করুণ হাতের বাম পাশে উপরে রয়েছে কিছু আইকন, নিচে রয়েছে স্টার্ট মেনু ও ডান পাশের নিচে ঘড়ির সময় সহ কিছু মিনি আইকন এবং এর মাঝখানে রয়েছে সম্পূর্ণ কালো একটি ব্যাকগ্রাউন্ড আর এই কালো জায়গা টিকেই ডেক্সটপ বলে।
♪কার্সর কি?
আমরা যখন কম্পিউটারে মাউস নারা চারা করি
তখন তীরের মতো একটা জিনিস নাচা-নাচি করে তাকে মাউস কারসর(Cursor) বলে।
♪বর্ননা:
কম্পিউটারে মাউস এর ব্যাবহার কম্পিউটারে মাউস দারাই বেশিরভাগ কাজ সম্পাদন করা হয়।
বর্তমান মাউস এ তিনটি বোতাম থাকে :
১- বামপাশের বোতাম(primary/left Button),
২- মাঝের বোতাম বা চাকা(wheel button)
৩- ডানপাশের বোতাম(Secondary/right Button)
এই কারসর কাজের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে থাকে।
স্ক্রীনের কোন স্থানে মাউস পয়েন্টার স্থাপন করে মাউসের বোতামে চাপ দেওয়াকে বলে মাউস ক্লিক করন।
একবার মাউস বোতাম চাঁপাকে বলে ক্লিক।
তেমনি দুবার মাউসের বোতাম চাঁপাকে বলে ডাবল ক্লিক।
মাউস দারা কোন ফাইল বা প্রোগ্রাম ওপেন করতে হলে ওই ফাইল বা প্রোগ্রামের উপর মাউসকারসর নিয়ে বাম পাশের বোতাম দিয়ে ডাবল ক্লিক করতে হয়।
চালু করা কোন প্রোগ্রাম বন্ধ করতে বা মিনিমাইজ করতে বামপাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করলে বন্ধ বা মিনিমাইজ হয়ে যাবে।
ডানপাশের বোতাম দিয়ে কোন ফাইল “সেভ করা, পেস্ট করা, কেটে ফেলাসহ কোন ফাইল, আইকন বা প্রোগ্রামের বিস্তারিত জানা যায়।
ডান পাশের বোতামে সব সময় এক বারি ক্লিক করতে হয়।
মাঝখানের বোতাম বা চাকা বাটন শুধু কোন বড় পেজ এর উপরে ও নিচে যেতে কাজে লাগে।
উদাহরন:যেমন ধরুন আপনি কোন পত্রিকা পরছেন সেক্ষেত্রে পেজটি বড় হলে এই বোতাম দিয়ে খুব সহজে উপরে ও নিচে যাওয়া যায়।
♪উইন্ডো কি?
কম্পিউটারে কোথাও ক্লিক করলে যে চর্তুভূজ আকারে কোনো এক ববা একাধিক পেজ ওপেন হয় তাকেই উইন্ডো বলে।
♪বর্ননা:
একটি উইন্ডো কে ছোট ও বড় করন এবং উইন্ডো বন্ধ করা উইন্ডো এর বাংলা শব্দ জানালা।
আমরা কম্পিউটারে যখন কোন প্রোগ্রাম চালু করি তখন ওটা একটা উইন্ডো আকারে ওপেন হয়।
এভাবে আমরা কম্পিউটারে এক সাথে অনেক গুলো প্রোগ্রাম উইন্ডো আকারে চালু করাতে পারি।
চালু করা উইন্ডো বড়, ছোট ও বন্ধ করা যায়।
আইকন কি ?
কম্পিউটারে যে সকল ছোট ছোট এক বা একাধিক ছবি বা চিত্র দেখা যায় তাকে icon বলে।
♪বর্ননা:
আইকন হল উইন্ডোজ স্ক্রীন এর অন্যতম মৌলিক অংশ। উপরের চিত্রে দেখানো হয়েছে।
My Document,My computer,Recycle Bin এগুলোকে আইকন বলা হয়।
যেমন এখানে তিনটি আইকন আছে আপনার কম্পিউটারে আরও বেশী আইকন থাকতে পারে।
উল্লেক্ষ্য যে আমরা কম্পিউটারে নতুন কোন প্রোগ্রাম ইনস্টল করলে সেটি একটা আইকন ধারন করে এবং ওই আইকনে ডাবল ক্লিক করে প্রোগ্রামটি রান করাতে হয়।
♪টাইটেল বার ও মেনু বার এবং স্ক্রোলবার কি ?
♪বর্ননা:
মেনু বারঃ
File,Edit,View,Favorites,Help ইহারা এক একটি মেনু এবং ইহাদিগকে যে লাইনে দেখা যাই উহার নাম মেনু বার।
মেনু বার দিয়ে প্রোগ্রামের নান ধরনের কাজের। কমান্ড দেওয়া যায়।
আর স্ক্রোলবার দিয়ে কোন প্রোগ্রামের নিচে বা উপরে যাওয়া যায়।
নিচের ছবিতে দেখানো হোল। 
ফোল্ডার:
♪বর্ননা
কি ফোল্ডার তৈরি করা ও নাম পরিবর্তন করা। ফোল্ডার মানে যার ভিতর এক বা একাধিক ফাইল রেখে দেওয়া যায়।
মনে করুণ আপনার কিছু ছবি ও কিছু ভিডিও আছে তো আপনি চান এগুলো আলাদা আলাদা করে রাখবেন সেই ক্ষেত্রে আপনাকে ফোল্ডার বানাতে হবে।
যেমন ছবির জন্য একটা আর ভিডিওর জন্য আরেকটা।
উল্লেখ্য একটি ফোল্ডারের ভিতর আরও অনেক সাবফোল্ডার বানানো যায়। নতুন ফোল্ডার তৈরী করার জন্য কম্পিউটারের ডেস্কটপের যেকোন খালি জায়গায় গিয়ে মাউস এর ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুণ,
এখানে New লেখার উপর মাউস কারসর নিয়ে যান ডান পাশে দেখেন Folder নামে একটা আইকন দেখবেন সেখানে মাউস এর বামপাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করুন,তাহলে ডেস্কটপে একটা ফোল্ডার তৈরী হবে।
এবার এর নাম করন করার জন্য তৈরী করা ফোল্ডারের উপর মাউস কারসর নিয়ে ডানপাশের বোতামে ক্লিক করুণ, নিচের ছবির মতো আসবে  এখানে Rename এ ক্লিক করুণ, বাম পাশের বোতাম দিয়ে ক্লিক করার সাথে সাথে মাউস থেকে হাত উঠিয়ে ফেলুন।
তারপর কীবোর্ড এ গিয়ে যে নাম দিতে চান সে নাম দিয়ে এন্টার(Enter) চাপুন বা মাউস এর বামপাশের বোতাম দিয়ে যে কোন খালি জায়গাই ক্লিক করুণ, দেখবেন আপনার ফোল্ডারের নাম করা হয়ে গেছে।
পুরান ফোল্ডারের নাম পরিবর্তন করার পদ্ধতি একি রকম।
ফাইল কপি(copy)ও পেস্ট(Paste)করা:
♪বর্ননা:
কম্পিউটারে কোন ফাইল কপি ও পেস্ট করা অনেকটা ফোল্ডার তৈরী করার মতো ।
এর জন্য আপনাকে যে ফাইল টি কপি করতে চান তার উপর মাউস এর করসার নিয়ে ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুণ দেখবেন Copy নামে একটা লেখা আসবে সেখানে ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে,
এবার যেখানে এই কপি করা ফাইল টির পুনর্স্থাপন বা পেস্ট করতে চান সেখানে মাউস কারসর নিয়ে আবার ডানপাশের বোতাম ক্লিক করুন,করে সেখানে Past লেখার উপর ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে।
ব্যাস কাজ শেষ আপনার ফাইল কপি হয়ে যাবে।
ফাইল ডিলিট(Delete) করা
♪বর্ননা
কম্পিউটারে কোন ফাইল ডিলিট বা মুছিয়া ফেলা অনেকটা কপি-পেস্ট করার পদ্ধতির মতো।
ফাইল ডিলিট করার জন্য যে ফাইল ডিলিট করবেন তার উপর মাউসের কারসর নিয়ে ডান পাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করুণ,সেখানে Delete নামে লেখাতে ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে একবার,
ক্লিক করার সাথে সাথে আর একটা উইন্ডো আসবে।
 এটা একটি সতর্ক বার্তা প্রদর্শনকারী উইন্ডো যা আপনাকে সতর্ক করে দিচ্ছে যে আমি কি অবশ্যই সিলেক্ট করা ফাইল টিকে আপনার কম্পিউটার থেকে মুছে ফেলতে চান,
চাইলে Yes এ ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে একবার, আর নি চাইলে No তে ক্লিক করুণ বাম পাশের বোতাম দিয়ে একবার,
তাহলে আপনার ফাইল টি ডিলিট হয়ে যাবে।
তাহলে আজ এই পর্যন্তই রাখলাম।
ভাল লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না…কিন্তু! যদি আমাদের লেখার মাঝে কোন ভুলত্রুটি থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে ভাল থাকবেন। আবার আসব নতুন পোষ্ট নিয়ে।
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৭
Windows Screen এ কোথায় কি আছে একবার দেখুন!(একদম নতুনদের জন্য)
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন